[ | ] Dear readers, you are the lifeblood of our website. You can mail us at this address to get your desired book contactwithboipaw@gmail.com Moreover, we do not publish any of his writings or reviews on our website without the permission of the author. If you have any comments or complaints about us please let us know, we will accept your every feedback with respect InshaAllah ...
boipaw.com How will more improve ? Give Us Suggestions

উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি - কেন পড়বেন? লেখক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ নদবী | Ustad Chara Ilm Orjoner Porinoti [Must Read]

বই :- উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি
লেখক :- মাওলানা ফয়সাল আহমাদ নদবী
প্রকাশনী :- নাশাত 
অনুবাদক :- যহীরুল ইসলাম
পৃষ্ঠা :- 48 
প্রচ্ছদ মূল্য :- ৬০৳
বাইন্ডিং :- পেপারব্যাক


বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অহরহ চোখে পড়ে উম্মাহর মাঝে দ্বন্দ্ব, একে অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করা, পরশ্রীকাতরতা কিংবা অহংবোধে পতিত হয়ে অন্যকে ছোটো করা/কাদাছোঁড়া, পোস্ট/কমেন্টের মাধ্যমে সরাসরি নাম উল্লেখ করে বা ইন্ডিরেক্টলি অন্যকে নিয়ে ট্রল করা, নিজেকে উত্তম মনে করে বাকিদের মানুষ বলেই গন্য না করা ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ হওয়া উচিত ছিল মুসলিম উম্মাহ 'আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত'- এর আকিদা মেনে চলবে, আল্লাহর দ্বীনকে ভাগ করে দলে দলে বিভক্ত হবে না। মুসলিম উম্মাহ তো এক দেহের ন্যায়- তা সে পৃথিবীর যে প্রান্তের মুসলিমই হোক না কেন!

ইলম শেখার আগে আদব শেখা দরকার। আর আদব কখনও বই পড়ে শেখা যায় না। তার জন্য উসতাদ/আলেমদের দারসে উপস্থিত হয়ে আদব শিখতে হবে, বিনয়ী হতে হবে। দ্বীন প্রচারে বিনয়ী না হলে মানুষ গ্রহণ করবে কীভাবে! ফেসবুক জুড়ে ইখতিলাফি মাসায়েল নিয়ে এমন মানুষদের তর্ক-বিতর্ক করতে দেখি যে খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের ইলম নিতান্তই নগন্য কিংবা তাদের জ্ঞান শুধুমাত্র পুঁথিগত নির্ভর বা অনলাইন পোস্ট কেন্দ্রিক। তারা কখনও সহীহ আলেম/শাইখদের সংস্পর্শে/সোহবতে থাকেনি। যার ইলম যত কম সে তত অহংকারী। অপরদিকে যার ইলম যত বেশি সে তত বেশি বিনয়ী।

উসতাদ ছাড়া ইলম অর্জনের পরিণতি বইটি শুরু হয়েছে ইলম অর্জনের শর্ত দিয়ে। কেউ একজন বলেছিলেন, "স্মৃতিশক্তি, আগ্রহ, পরিশ্রম, প্রয়োজনীয় সম্পদ, উসতাদের সান্নিধ্য, ইলমের পিছনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা - এই ছয় জিনিস ছাড়া কিছুতেই তুমি ইলম অর্জন করতে পারবে না।" আসলেই গভীরভাবে চিন্তা করলে সকলেই এর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারবে।

কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে আল্লাহ কেন যুগে যুগে এত নবী রাসূল পাঠিয়েছেন! ফেরেস্তাদের মাধ্যমে বা পাহাড়ের উপর আসমানি কিতাব পাঠালেই তো হতো!
- নবী-রাসূল পাঠানোর সুমহান লক্ষ্য ছিল নিজ জাতিকে বা উম্মাহকে কিতাব শেখানো ও কিতাবের উল্লিখিত বিধানের তাৎপর্য বোঝানো, আদব শেখানো।

কুরআনের আয়াত, তাফসীর, হাদীস বা বইয়ের এমন অনেক লাইন থাকে যা আলেমদের আখলাকে-উচ্চারণে, বর্ণনার ধরন-ভঙ্গিতে ও বোঝানোর পদ্ধতিতে এবং কাঠামোতেই কেবল অনুধাবন করা সম্ভব। শব্দ বা অক্ষরের মাধ্যমে ব্যক্তির আখলাক কখনই পরিবর্তন হয় না। শব্দের চিত্রায়ণ তখনই পূর্ণতা পাবে যখন আলোচক কিংবা শিক্ষক বলার বিশেষ ধরনে, উচ্চারণের বিশেষ পদ্ধতিতে তা রূপায়িত করে তুলবেন।

অত্যন্ত মূল্যবান এইরকম বিষয় নিয়ে রচিত হয়েছে বইটি। এক বৈঠকেই পড়ে ফেলা যায়। অনুবাদও বেশ ঝরঝরে, সাবলীল। ছোট্ট বইটি আমার বিশাল বড় এক উপকার করেছে। কি উপকার সেটা বলব না। কারণ সেটা আমার গোপন আমলের অন্তর্ভুক্ত - তাই সিক্রেটই থাক। আপনারাও একবার বইটি পড়ে দেখুন। সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর।

Post a Comment

Your Opinion Is Very Important For Us, Please Write Your Opinion Below About This Book

Previous Post Next Post