উপন্যাস : পুত্র বিয়োগ
পুত্র বিয়োগ আফরাছিম হাবীবের লেখা একটি কিশোর উপন্যাস। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট নজরকাড়া তেমন কোনো ঘটনা নয়। ফাহাদ চৌধুরীর দুই ছেলে আন্দালিব আর আন্দাল। দুই ছেলেকে নিয়ে তার স্ত্রীসহ চারজনের সংসার। স্কুল শিক্ষক ফাহাদ চৌধুরী বদলী হয়ে নতুন একটা জায়গায় আসেন। সেখানে তার ছেলেদের স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। আন্দালিব বড়ো, আন্দাল ছোটো। আন্দালিবের নতুন এলাকায় দুজন বন্ধু জুটে যায়। পুরো উপন্যাসজুডে তাদের নিয়েই এগিয়েছে গল্প। আন্দালিবের বাবা দুর্নীতি করে কিছু টাকা আয় করে। সেই টাকা দিয়ে জমি কিনে বাড়ি করতে ব্যস্ত। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ফাহাদ চৌধুরীকেও ছাড়েনি। পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিশেবে বলি হয়েছে তার দুই ছেলে। পান্না নদীতে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ভেসে যায় দুই ভাই। এই হলো উপন্যাসের প্লট।
আফরাছিম হাবীব এখনও কিশোর। দশম শ্রেণীর ছাত্র৷ অল্প বয়সেই এসেছে লেখালেখিতে। কিশোর বয়সের যা যা চিন্তা, কর্ম সবই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে। এককেন্দ্রিক গল্প হওয়াতে পড়তে গিয়ে বিরক্তি চলে এসেছিল। তবুও ধৈর্য নিয়ে এগিয়েছি। কাচা হাতের লেখায় যতটা গল্পের কাচা বুনন ছিল ততটা সুন্দর ফিনিশিংও ছিল। অনেকটা যেমন উস্তাদের মার শেষ রাতে।
প্রচুর বানানভুল ছিল। উপন্যাস পড়তে গিয়ে বিরক্তি চলে আসার এটাও অন্যতম কারণ। প্রথম দুচার পেইজ বানান ভুল লাল কালিতে দাগালেও পরবর্তীতে বানানভুল এড়িয়ে গিয়ে গল্পটা ধরতে চেষ্টা করেছি। বয়স, প্রথম উপন্যাস হিসেবে খারাপ লেখেনি।
লেখকের প্রতি পরামর্শ থাকবে, লেখালেখি গুরুমুখী বিদ্যা। নিজের অধ্যয়ন, প্রচেষ্টা ও গুরুর বিকল্প নেই। এই লেখকের লেখার হাত আছে। উপযুক্ত নার্সিং পেলে একদিন ভালো করবে বলেই বিশ্বাস।
উপন্যাসিক : আফরাছিম হাবীব
পৃষ্ঠা : ৬৪
মূল্য : ১৮০
প্রকাশন : সাহিত্য এজেন্ট
প্রকাশ : গ্রন্থমেলা, ২০২২
প্রচ্ছদ : শামস্ উদ্দিন
রিভিউ লিখেছেন : সুজন আহসান
ছবি : পুত্র বিয়োগ |
পুত্র বিয়োগ আফরাছিম হাবীবের লেখা একটি কিশোর উপন্যাস। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট নজরকাড়া তেমন কোনো ঘটনা নয়। ফাহাদ চৌধুরীর দুই ছেলে আন্দালিব আর আন্দাল। দুই ছেলেকে নিয়ে তার স্ত্রীসহ চারজনের সংসার। স্কুল শিক্ষক ফাহাদ চৌধুরী বদলী হয়ে নতুন একটা জায়গায় আসেন। সেখানে তার ছেলেদের স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। আন্দালিব বড়ো, আন্দাল ছোটো। আন্দালিবের নতুন এলাকায় দুজন বন্ধু জুটে যায়। পুরো উপন্যাসজুডে তাদের নিয়েই এগিয়েছে গল্প। আন্দালিবের বাবা দুর্নীতি করে কিছু টাকা আয় করে। সেই টাকা দিয়ে জমি কিনে বাড়ি করতে ব্যস্ত। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ফাহাদ চৌধুরীকেও ছাড়েনি। পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিশেবে বলি হয়েছে তার দুই ছেলে। পান্না নদীতে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ভেসে যায় দুই ভাই। এই হলো উপন্যাসের প্লট।
আফরাছিম হাবীব এখনও কিশোর। দশম শ্রেণীর ছাত্র৷ অল্প বয়সেই এসেছে লেখালেখিতে। কিশোর বয়সের যা যা চিন্তা, কর্ম সবই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে। এককেন্দ্রিক গল্প হওয়াতে পড়তে গিয়ে বিরক্তি চলে এসেছিল। তবুও ধৈর্য নিয়ে এগিয়েছি। কাচা হাতের লেখায় যতটা গল্পের কাচা বুনন ছিল ততটা সুন্দর ফিনিশিংও ছিল। অনেকটা যেমন উস্তাদের মার শেষ রাতে।
প্রচুর বানানভুল ছিল। উপন্যাস পড়তে গিয়ে বিরক্তি চলে আসার এটাও অন্যতম কারণ। প্রথম দুচার পেইজ বানান ভুল লাল কালিতে দাগালেও পরবর্তীতে বানানভুল এড়িয়ে গিয়ে গল্পটা ধরতে চেষ্টা করেছি। বয়স, প্রথম উপন্যাস হিসেবে খারাপ লেখেনি।
লেখকের প্রতি পরামর্শ থাকবে, লেখালেখি গুরুমুখী বিদ্যা। নিজের অধ্যয়ন, প্রচেষ্টা ও গুরুর বিকল্প নেই। এই লেখকের লেখার হাত আছে। উপযুক্ত নার্সিং পেলে একদিন ভালো করবে বলেই বিশ্বাস।
Tags:
blog